ইফতেখার-সোহানের দৃঢ়তায় রংপুরের ১৫৩

ওপেনাররা আরও একবার পারলেন না রংপুর রাইডার্সকে ভালো সূচনা এনে দিতে। অল্পে বিদায় নিলেন দুজনই। খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ রান করলেন বটে, তবে রান তোলার গতি তাতে কমে গেল কিছুটা। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান খেললেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস, যা তার দলকে এনে দিল লড়াকু পুঁজি।


মিরপুরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা রংপুর ২০ ওভারে করেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।


তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে রংপুর রাইডার্সকে দারুণ সূচনা এনে দেন স্টিভেন টেলর। আল-আমিন হোসেনের করা দ্বিতীয় ওভারটি ছিল ব্যয়বহুল। দুটি বাউন্ডারি আসে টেলরের ব্যাট থেকে। তবে ওপেনিং জুটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। অ্যালেক্স হেলসকে ৬ রানে সাজঘরে ফেরান তানজিম। 


আল-আমিন এরপর জোড়া আঘাতে চাপে ফেলে দেন রংপুরকে। সাইফ হাসানের পর তার শিকার হন টেলরও। ৫ ওভার দলতির রান ৩ উইকেটে মাত্র ২৮। আগের ম্যাচে দুটি দারুণ ইনিংস খেলা ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ বিপদের সময়ে দলের হাল ধরেন। 


সুযোগ বুঝে কিছু বড় শট মারেন দুজনই। তবে তবে রানের গতিও কমে যায় বেশ কিছুটা। সিলেতের বোলাররাও করেন আঁটসাঁট বোলিং। চাপ সরাতে বড় শট খেলতে গিয়ে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে খুশদিল আউট হয়ে যান ২১ রানে।


 একপ্রান্তে সেট ইফতেখার ১০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করায় রানের চাকা সচল করার জন্য দরকার ছিল আগ্রাসী ব্যাটিং। ক্রিজে নেমেই সেই কাজটা করে দেন সোহান। রংপুর অধিনায়ক চড়াও হন রিস টপলির ওপর। ইংলিশ পেসারের এক ওভারে দুটি চারের পাশাপাশি মারেন একটি ছক্কাও। 

তানজিমের করা ১৮তম ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা আসে সোহানের ব্যাট থেকে। তার ক্যামিও ইনিংসের শেষটা হয় টপলির বলে। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বল চলে যায় লং-অনে থাকা আরিফুল হকের হাতে, যিনি ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। মাত্র ২৪ বলে ৪১ রান করেন সোহান। 



এরপর শেষের দিকে নামা শেখ মাহেদি হাসান খেলেন ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস, যা রংপুরকে ১৫০ পার করতে সাহায্য করে। ইফতেখার অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৪৭ রানে। তানজিম ২ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রানে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ফ্রিতে ভিজিটিং কার্ড করতে চান